প্রকৃতি ড্রাগন ফল

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে বর্তমানে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় জাতের ড্রাগন ফলের চাষ হতে দেখা যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি ড্রাগন ফল-১ নামে একটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের উদ্যান তত্ত্ব্ব বিভাগ উদ্ভাবন করেছে বাউড্রাগন ফল-১ (সাদা), বাউড্রাগন ফল-২ (লাল) এবং বাউড্রাগন ফল-৩ নামের কয়েকটি উন্নত জাত।

তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রতিটি গাছে গড়ে ফলের সংখ্যা ৯ থেকে ১৫টি এবং ফলন ৩.২২ কেজি। প্রতি বছর এক হেক্টর জমি থেকে ২০.৬ টন ফল পাওয়া সম্ভব।

সব ধরনের ডায়েটের জন্য ড্রাগন ফল উপযুক্ত। এটি ডায়াবেটিক রোগীর শরীরে রক্তের গ্লুকোজকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সালাদ হিসেবেও ব্যবহূত হয়ে থাকে। খাবারের পর ডেজার্ট হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় এ ফল খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

ঢাকা, গাজীপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

বারি ড্রাগন ফল-১

নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। সুস্বাদু এবং এ থেকে প্রচুর সংখ্যক ফল আহরণ করা যায়। ফলের গড় ওজন ৩৭৫.১১ গ্রাম। পাকা ফলের খোসা লাল। শাঁস গাঢ় গোলাপি রঙের, রসালো এবং টিএসএস ১৩.২২%। খাদ্যোপযোগী অংশ ৮১%। বীজসমূহ খুব ছোট কালো ও নরম। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে জলীয় অংশ ৮৫.৩০ গ্রাম, বিটা কেরোটিন ১২.০৬ মিলিমাইক্রো গ্রাম, ভিটামিন সি ৪১.২৭ মিলি গ্রাম, আমিষ ১.১০ গ্রাম, শর্করা ১১.২০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০.২০ মিলি গ্রাম, আয়রণ ৩.৩৭ মিলি গ্রাম, হজমযোগ্য আঁশ ১.৩০ গ্রাম, এবং খাদ্যশক্তি ৬৭.৭০ কিলোক্যালরি বিদ্যমান। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ফাইবার, ফ্যাট, অ্যাস, ফসফরাস, এসকরবিক অ্যাসিড ও প্রোটিন।